MUMIN VS MUNAFIK
লিখেছেন লিখেছেন আপোষহীন জনতা ১৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:২৭:১২ সকাল
অপার এক বৈচিত্রের এই বাংলাদেশ।একানে নানা ধর্ম,বর্ণ আর ঢম্গ্যের মানুষের এক বৈচিতির্ক সমাবেশ।এ দেশের মহা পথগুলোতে যেমনি দেখা যায় দুর্গা পুজার শভা যাত্রা,শিয়া সম্রদায়ের তাজিয়া মিছিল।আবার মুসলমানদের মাঝে দেখা যায় দুটি শ্রেণি একটি হল যখন রাসুল সাঃ এর ইজ্জতের উপর কোন প্রকার আঘাত আসে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাজপথে।নিজের জিবনের বিনিময়ে রক্ষা করে রাসুলের ইজ্জত।নারায়ে তাকবিরের সাথে সাথে নাস্তিকদের ফাসির দাবিতে শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল করে রাজপথ।অমনি কম্পন শুরু হয় জালিম শাহীর দুর্বল মনে শুরু হয় দমন নিপিড়ণ আর আশেকে রাসুলেরা নবিজির ইজ্জতের উপর আঘাতকে প্রতিকী ভাগ হিসেবে বক্ষ পেতে নেই বুলেটের আঘাত।এরাই হল প্রকৃত আশেকে রাসুল।উহুদ জিহাদের জ্বলন্ত উপমা।
আর আরেকটি শ্রেণি আছে যাদের কৃত্রিম ভালবাসার নাঠকীয় কমেডি দেখলে শয়তানও যেন আট্টহাসিতে ফেটে পড়া।এরা হল কথিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ছদ্মাবরণে আহলে বেদাত ওয়াল ফ্যাসাদ।রাসুল সাঃ এর জন্ম দিনে পশ্চিমা স্টাইলে কেক কাটা আর বিরিয়ানি খাওয়ার জন্ন বছরের একটি দিনে তাদের দৌড় ঝাপ যেন চোখে পড়ার মত।যেন বসন্তের কোকিলদের অপতথপরতা।রাসুলের দুর্দিন আর অমবাননার দিনে এদেরকে লাটি চালান দিলেও পাওয়া যায়না।
শুনেছি এসব মুনাফিকদের বিরিয়ানির এক আসরে অথিতি ছিলেন জাতিয় বিয়াদব ও নাস্তিক হাসানুল হক ইনু।আসলে জাতে জাত চিনে তাই এক বিরিয়ানি পাগল আরেক বিরিয়ানি পাগলদের চিন্তে ভুল করলনা।শহবাগে কুলাংগার ইনুর দোসরদের প্রিয় খাবার ছিল বিরিয়ানি আর এসব মুনাফিকদেরও তাই।বাহ দারুন এক সমীকরণ।যে ইনু জানোয়ারটা মুসলিম নাম শুনলেই জংগী আর ইসলামের নাম শুনলে জংগীব্দ বলে কুত্তার সাথে সুর মিলিয়ে ঘেউ ঘেউ করে মুখে ফনা তুলে কথিত আশেকে রাসুল নাম্মী মুনাফিকদের বিসিয়ানির আসরে এমন এক বেজন্মা অথিতি হওয়াটা স্বাভাবিক।
কালকে এসব মুনাফিক ও মডারেট সুন্নিরা নারায়ে তাকবির বলে একদম রাজপথ কাপিয়ে তুলেছে।কিন্তু যে নারার আওয়াজ শুনলে শয়তান ভয়ে কাপে এসব মুনাফিকদের মুখে একই নারা শুনে শয়তান যে আট্টহাসি হেসেছিল।কারণ এই নারার সাথে ছিলনা খদাদ্রোহীর বিরুধ্যে,রাসুল সাঃ এর অবমাননাকারি নাস্তিক কুলাংগারদের বিরুধ্যে কোন শ্লোগান।এটাই চিরচারিত নিয়ম যেখানে সত কাজের আদেশের পাশাপাশি অসত কাজের নিষেদের দাবি আসবে সেখানেই তাগুতের বাধা আসবে।আর যে শুধু সত কাজ নিয়ে পড়ে থাকে কিন্তু অসতের বিরুধ্যে বলেনা তার ওই দুই নাম্বরি সততায় তাগুত আরও সহায়তা করবে।ত্দ্রুপ রাসুলের প্রতি ভালবাসার পাশাপাশি যে মিছিলে তার কুথসা রটনাকারিদের ফাসির দাবি আসবে সেখানেই তাগুতের বাধা আসবে।রচিত হবে ৫ ই মে এর মত ভয়াল রাত।
আর যারা শুধু বিরিয়ানির ভালবাসায় মিষ্টান্ন শ্লোগান দিবে তাদেরকে তাগুত সহায়তা করবে,তাদের আসরে উনুর মত কুলাংগার বেজন্মারাও যাবে।এসব মুনাফিকদের চিনতে কুরান হাদিসের মানদন্ডের প্রয়োজন নেই।বিবেকের বিচারে এখন উন্মোচিত হয়ে গেল এদের মুখোশ।
- এম ওমর ফারুক আজাদ
বিষয়: বিবিধ
৯৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন